করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়ভাবে দ্রুত নমুনা পরীক্ষার জন্য নতুন আরটিপিসিআর মেশিন সরবরাহ পাচ্ছে বান্দরবান সদর হাসপাতাল।একই সাথে সুনামগঞ্জ জেলাতেও বসানো হচ্ছে আরটিপিসিআর মেশিন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৫ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে টিবিএল এন্ড এএসপি এর লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শামিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলেন ইতোমধ্যেই এই দুইটি জেলার জন্য আরটিপিসিআর (রিয়েল টাইম পলিমারেজ চেইন রিয়েকশন) মেশিন সংগ্রহ করা হয়েছে।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অংসুইপ্রু মারমা শুক্রবার ১৬ জুলাই জানান, আরটিপিসিআর মেশিন বরাদ্দ সংক্রান্তপত্র তিনি পেয়েছেন।
ডা. অংসুইপ্রু জানান, ঈদের পরপরই আরটিপিসিআর মেশিন সদর হাসপাতালে এসে যাবে। এ জন্য সদর হাসপাতাল ভবন সংলগ্ন আরেকটি ভবনে ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম ভেটেনারী বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ পর্যায়ের একজন আরটিপিসিআর বিশেষজ্ঞ শনিবার ১৭ জুলাই ল্যাব পরিদর্শনের জন্য আসছেন বলে জানান সিভিল সার্জন।
বর্তমানে বান্দরবান জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত বুথে নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এর ফলে নমুনার ফলাফল পেতে ৪/৫ দিন লেগে যাচ্ছে।
বান্দরবানের জন্য একটি স্বতন্ত্র পিসিআর ল্যাব চালু করার পর দিনে দিনেই নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া যাবে। এবং এতে করে করোনা রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা সহজতর হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন সিভিল সার্জন ডা. অংসুইপ্রু।