বান্দরবান পার্বত্য জেলার সকল এলাকায় ৭ আগষ্ট গণ টিকাদান কার্যক্রমের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও ৩টি উপজেলার ৪টি দুর্গম ইউনিয়নের নির্ধারিত সময়ে এই কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না।
সিভিল সার্জন ডা. অংসুইপ্রু মারমা জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেলে সবকটি উপজেলা সদরে ভ্যাক্সিন পাঠানো গেলেও দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে রুমা উপজেলার রেমাক্রি-প্রানশা, আলীকদমের পোয়ামুহুরী এবং থানচি উপজেলার তিন্দু ও রেমাক্রি ইউনিয়নে শনিবার ৭ আগষ্ট বিকেলের আগে ভ্যাক্সিন পৌছানো সম্ভব হবে না।
সিভিল সার্জন বলেন, “এসব এলাকায় ৮ ও ৯ আগষ্টেও গণ টিকাদানের প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রেখেছি।”
বান্দরবান সদর হাসপাতাল সংলগ্ন ইপিআই সেন্টার থেকে উপজেলাসমূহে ভ্যাক্সিন পাঠানো হয়। শুক্রবার ৬ আগষ্ট সকালে সেখানে গিয়ে দেখা গেলো সিভিল সার্জনের উপস্থিতিতে তাপ নিয়ন্ত্রিত প্যাকিং করে স্ব স্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স যোগে সিনোফার্মের ভ্যাক্সিনের পাশাপাশি এস্ট্রোজেনিকার টিকাও পাঠানো হচ্ছে।
সিভিল সার্জন জানান, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ৩২৮০০ (বত্রিশ হাজার আটশত) ভায়াল সিনোফার্মের টিকা এবং ৪ হাজার ভায়াল এস্ট্রোজেনিকার টিকা পাওয়া গেছে। এ কারণে গণ টিকার পাশাপাশি ইতোপূর্বে এস্ট্রোজেনিকার প্রথম ডোজ গ্রহণকারীদের ২য় ডোজের টিকাও দেয়া হবে।
তিনি জানান, জেলার ৩৩ টি ইউনিয়ন এবং পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ১০৫টি বুথের মাধ্যমে গণ টিকাদান কার্যক্রম চালানো হবে। এসব বুথে ২১০ জন টিকাদানকারী এবং ৩১৫ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন।