দেশব্যাপী গণ-টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিনে শনিবার জেলার ৩৩টি ইউনিয়ন ও বান্দরবান পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডসহ ১০৫ টি বুথে প্রায় ২১ হাজার জনকে সিনোফার্ম টিকার প্রথম ডোজ দেয়া সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার সকাল ৯ টায় বান্দরবান শহরে বালাঘাটা বিলকিছ বেগম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে জেলা পর্যায়ে গণ-টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
এদিকে জেলার যে ৪টি দুর্গম ইউনিয়নে শনিবার টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল- বিশেষ ব্যবস্থায় শনিবার সকাল ১০ টার মধ্যেই সেসব এলাকায় ভ্যাক্সিন পৌঁছানো হয়। এবং টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অংসুইপ্রু মারমা জানান, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা কর্মী ও ভ্যাক্সিন রুমা উপজেলার রেমাক্রি-প্রানশা, আলীকদম উপজেলার পোয়ামুহুরী এবং থানচি উপজেলার তিন্দু ও রেমাক্রি ইউনিয়ন সদরে পৌঁছানো যায়।
তিনি জানান, ৪টি ইউনিয়নের কেউই টিকা ক্যাম্পেইন থেকে বাদ যাবে না। দেরিতে শুরু হবার কারণে শনিবার যারা টিকা নিতে পারেননি রবিবার ও সোমবার তাদেরকে বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা দেওয়া হবে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৩ টি ইউনিয়ন, রুমা উপজেলার রেমাক্রি-প্রানশা ইউনিয়ন, থানচি উপজেলার তিন্দু ও রেমাক্রি ইউনিয়ন এবং আলীকদম উপজেলার পোয়ামুহুরী ইউনিয়নে ইন্টারনেট না থাকায় জাতীয় সার্ভারে টিকা গ্রহণকারীদের তথ্যাদি পোস্টিং দেয়া যায়নি। সাদা কাগজে নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং মোবাইল নম্বর লিখে রাখার মাধ্যমে ২৫ ও তদুর্ধ্ব বয়সীদের করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেয়া হয়।
স্বাস্থ্যবিভাগ বলেছে, উপজেলা সদরে ফিরে খুব কম সময়ের মধ্যেই জাতীয় টিকা সার্ভারে এসব তথ্য পোস্টিং দেওয়া হবে।