বান্দরবানের লামা উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সাধারণ মেম্বার এবং সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বারসহ মোট ১৭০টি পদের বিপরীতে ৩৮৫ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, ৯টি ইউনিয়নের সবকটিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে ৯ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। অন্যেরা মনোনয়ন পত্রে নিজেদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করায় কারা বিদ্রোহী প্রার্থী- এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে কোনো তথ্য নেই।
তবে স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, আওয়ামীলীগে মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হওয়া প্রায় সবাই বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রবিবার ১৭ অক্টোবর মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারদের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, লামা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে মোট ১৯ জন এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ২টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
এর মধ্যে লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বাথোয়াই চিং মারমা ও মোহাম্মদ বাবুল হোসেন, লামা সদর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মিন্টু কুমার সেন, রবিউল হোসেন এবং আকতার কামাল, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাং নুরুল হোসাইন, জাতীয় পার্টি মনোনীত খোরশেদ আলম, বর্তমান চেয়ারম্যান জাকের হোসেন এবং উমর ফারুক। আজিজনগর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ জসীম উদ্দিন ও রশিদ আহম্মদ, সরই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ও মাওলানা আবু হানিফ, রূপসীপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী ছাচিং প্রু মারমা ও জাহাঙ্গীর আলম এবং ফাইতং ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ ওমর ফারুক, মোঃ আবু তাহের, আবদুল জলিল ও মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
অন্যদিকে রিটার্নিং অফিসারের অফিস সূত্র জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ আলম কোম্পানী, মনোনয়ন বঞ্চিত জাহাঙ্গির আলম বাহাদুর ও সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হাকিম এবং দোছড়ি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মো: ইমরান ও মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাবিবুল্লাহ স্ব স্ব মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।
তবে মনোনয়ন পত্র দাখিলকে কেন্দ্র করে কোথাও কোনো অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি।