বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী এবং গেরিলা বিদ্রোহীদের মধ্যে শুক্রবারও থেমে থেমে গুলি বিনিময় হয়েছে।
এসব ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও সীমান্তের জিরো লাইনের কাছাকাছি এলাকায় গরু আনতে গিয়ে স্থল মাইন (ল্যান্ড মাইন) বিস্ফোরণে অন্যথাইন তঞ্চঙ্গ্যা (২৫) নামে একজন আহত হয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে বিজিবি বা পুলিশের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গত কয়েকবছর ধরে সীমান্তের স্থল মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ছিল না। শুক্রবার হঠাৎ করে স্থল মাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।
ঘুমধুম ৩নং মৌজার হেডম্যান (মৌজা প্রধান) থাইন চা প্রু জানান, দুপুর ১টার সময় আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার নং ৩৫ এর কাছাকাছি এলাকায় গরু আনতে গিয়ে স্থল মাইন বিস্ফোরণে আহত হন অন্যথাইন তঞ্চঙ্গ্যা।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন পর হঠাৎ করে মাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় আমরা উৎকন্ঠিত।
তিনি বলেন, গরু চড়ানো, ধান চাষ, জুম চাষ, সবজি বাগান এবং অন্যান্য কাজে সীমান্তের জিরো লাইনের কাছাকাছি বসবাসকারী লোকজনকে যাতায়াত করতে হয়। এমন অবস্থায় সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় মাইন পুঁতে রাখা মানবতাবিরোধী অপরাধ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সীমান্তে জনপারাপার বন্ধ রাখার জন্য মিয়ানমার সরকারি বাহিনী গত ২/১ দিনের মধ্যে এসব স্থল মাইন পুঁতে রাখতে পারে।
এদিকে স্থল মাইনে আহত হবার পর অন্যথাইন তঞ্চঙ্গ্যাকে প্রথমে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাকালে অন্যথাইন তঞ্চঙ্গ্যার অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাইন বিস্ফোরণের কারণে অন্যথাইন তঞ্চঙ্গ্যার বাম পায়ের গোড়ালি থেকে পায়ের পাতা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, সীমান্তের জিরো লাইনে স্থল মাইন বিস্ফোরণের ঘটনার পর এ বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।