বান্দরবান জেলায় শনিবার রাত থেকে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ফলে নদ নদীতে পানি বাড়ছে ও এবং বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে।
আজ দুপুরে বান্দরবান-রুমা সড়কের দলিয়ান পাড়া এবং খুমী পাড়া পয়েন্টে পাহাড় ধসের ঘটনায় বান্দরবান জেলা সদর ও রুমা উপজেলার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, সড়ক যোগাযোগ দ্রুত চালুর লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নির্মাণ প্রকৌশল বিভাগ (ইসিবি) এবং ফায়ার সার্ভিস কাজ শুরু করেছে।
জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, বিকাল ৩টা পর্যন্ত বান্দরবান জেলা সদরে ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, পৌর শহর লামায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১৬০ দশমিক ৩ মিলিমিটার। এতে বন্যা ও পাহাড় ধসের আশংকা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরে নিরাপদ স্থানে চলে আসার জন্য বান্দরবান পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনসমূহের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
এদিকে উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি প্রবাহ বেড়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অরূপ চক্রবর্তী জানান, দুপুর ১২টায় নেয়া রেকর্ড অনুযায়ী সাঙ্গু নদীর বান্দরবান শহর পয়েন্টে পানি এখনো বিপদ সীমার ৫ মিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে মাতামুহুরী নদীর লামা পয়েন্টে বিপদসীমার খুব কাছাকাছি দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলা সদরসহ ৭টি উপজেলায় ২১৪টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনকেও সার্বক্ষণিক সতর্ক অবস্থায় থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।