বান্দরবান পার্বত্য জেলায় নবগঠিত বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’ এর আরো ৩ সদস্যকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
শনিবার ২৭ জুলাই সকালে ওই ৩ জনকে থানচি থানা পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন সেনাবাহিনীর বাকলাই পাড়া ক্যাম্পের মেজর মহিবুল্লাহ সাদী।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমি কালের কন্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আসামী জাবেল বম (২৩), ভানলাল চম বম (৩০) ও লালমুন লিয়ান বম (৪২)। তারা সবাই থানচি উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিম্পলাম্পি (Simpolampi) পাড়ার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, শুক্রবার ২৬ জুলাই দিনভর অভিযান চালিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ওই ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে।
রায়হান কাজেমি জানান, গ্রেপ্তারকৃত জাবেল বম, ভানলাল চম বম ও লালমুন লিয়ান বমকে থানচি থানার মামলা নং ২, তারিখ: ০৫/০৪/২০২৪ এ গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার বিকেলে বান্দরবান চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা সুরাইয়া আকতার এর এজলাসে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ নিয়ে যৌথবাহিনীর চলমান বিশেষ অভিযানে রুমা ও থানচির ব্যাংক ডাকাতি এবং ‘কেএনএফ’ সংশ্লিষ্টতায় মোট আটকের সংখ্যা ১১৯ জনে দাড়ালো।
তিনি জানান, গত ২ এপ্রিল রাতে রুমার সোনালী ব্যাংক এবং ৩ এপ্রিল দুপুরে থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে সশস্ত্র হামলা, অস্ত্র ও টাকা লুট এবং রুমায় সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনার পর গত ৭ এপ্রিল থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর ‘কেএনএফ’ বিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু হয়। জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি ও বান্দরবান জেলা সদর উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পরিচালিত বিশেষ অভিযানে সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা অংশ নিচ্ছে। অভিযান এখনো চলমান রয়েছে বলে জানান রায়হান কাজেমি।