খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক (পাহাড়ি-বাঙালি) সংঘাত বিষয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ এবং বান্দরবানের বিভিন্ন অংশীজনের সাথে মত বিনিময় করেছেন এ বিষয়ে সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী।
স্থানীয় কালেক্টরেট সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এই মত বিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম, জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা অধ্যাপক মোহাম্মদ ওসমান গণি,
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মজিবুর রহমান, মানবাধিকার কর্মী ডনাই প্রু নেলী ও ছাত্র প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
তদন্ত কমিটি প্রধান মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী বলেন, সরকার যে কোন ধরনের সাম্প্রদায়িক সংঘাত চিরতরে বন্ধ করার লক্ষ্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তিনি বলেন, প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সকল শ্রেণী ও পেশার প্রতিনিধিদের এগিয়ে আসা দরকার।
চোর সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যা এবং ধর্ষণের অভিযোগ এনে একজন শিক্ষক হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি জেলা সফর, দীঘিনালা ও রাঙামাটি জেলার কয়েকটি স্থানে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষে ব্যাপক সম্পদহানীর ঘটনা ঘটে। তবে প্রশাসন, স্থানীয় সামাজিক প্রতিনিধি এবং রাজনীতিকদের সতর্ক ভূমিকার কারণে বান্দরবান জেলায় ওই ঘটনার কোন প্রভাব পড়েনি।