অনিবার্য কারণ দেখিয়ে বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় মঙ্গলবার ৮ অক্টোবর থেকে পর্যটক ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
তিনটি পার্বত্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যুগপৎভাবে জারি করা সংক্ষিপ্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে অনিবার্য কারণ দেখানো হলেও এ সম্পর্কে বিস্তারিত কোন ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।
এদিকে পর্যটনের ভর মওসুমে এমন নিষেধাজ্ঞায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন পর্যটন খাতে বিনিয়োগকারীরা। স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’ এর সামরিক তৎপরতার কারণে প্রায় দু’বছর বন্ধ থাকার পর বান্দরবানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণের উপর জারি করা সাময়িক নিষেধাজ্ঞা ধাপে ধাপে তুলে নেয়া হয়। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা তাদের হোটেল রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্টগুলোকে আবারো নতুন করে সাজিয়ে তোলার পর এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আমাদের জন্য মড়ার উপর খাড়ার ঘা- বলে মন্তব্য করলেন বান্দরবান ও রুমায় আবাসিক হোটেল মালিক জাফর উল্লাহ।
কালের কন্ঠকে তিনি বলেন, ৩১ অক্টোবরের পরে নিষেধাজ্ঞা যে উঠে যাবে- এমনটিও বিশ্বাস করা যায় না। ২০২২ সালের শুরু থেকে পর্যটনের উপরে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়। এবারো তেমনটি হবে কি না বুঝতে পারছি না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেকজন পর্যটক ব্যবসায়ী বলেন, আগেরবার ‘কেএনএফ’ বিরোধী বিশেষ অভিযানের কারণে পর্যটক ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। এবার পর্যটক ভ্রমণ বন্ধ রাখার কোন কারণও জানা যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় পার্বত্য অঞ্চলে বিকাশমান পর্যটন খাত চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এর আগে রবিবার ৬ অক্টোবর দুপুরে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন এক সংক্ষিপ্ত প্রজ্ঞাপনে অনিবার্যকারণ বশত: আগামী ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বান্দরবানে ভ্রমণ না করার জন্য পর্যটকদের প্রতি অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন কালের কন্ঠকে জানান, শুধুমাত্র বান্দরবানেই নয়, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় একই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞা জারির আগে যে সব পর্যটক এই অঞ্চল ঘুরতে এসেছেন, এখান থেকে ফিরে যেতে যাতে তাদের কোন সমস্যায় না পড়তে হয়, আমরা সেদিকে লক্ষ্য রাখবো।