বান্দরবানের রুমা উপজেলার একটি গহীন জঙ্গলে সেনাবাহিনীর অভিযান চলাকালে স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’ এর সামরিক শাখা ‘কুকিচিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)’ এর ৩ সশস্ত্র সদস্য নিহত হয়েছে। এই অভিযানে অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে সেনা সদস্যরা।
রবিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযান এখনো চলছে।
তবে আইএসপিআর এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কোথায় এবং কখন গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে এবং কি কি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে- তা জানানো হয়নি।
এদিকে স্থানীয় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, রুমা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে শুক্রমণি নতুন পাড়ায় গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শুনলেও নিহত বা আহতদের বিষয়ে কোন তথ্য পায়নি বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
শান্তি সংলাপ চলমান থাকা অবস্থায় এ বছরের ২ এপ্রিল রাতে রুমা উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে অস্ত্র লুট ও ম্যানেজারকে অপহরণ করা হয়। পরদিন ৩ এপ্রিল দুপুরে পার্শ্ববর্তী থানচি উপজেলা সদরে সোনালী ও কৃষি ব্যাংক শাখায় সশস্ত্র হামলা চালিয়ে টাকা লুটের ঘটনা ঘটে।
এসব ঘটনার সাথে ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’ ও তাদের সামরিক শাখা ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)’ সদস্যরা জড়িত থাকায় শান্তি সংলাপ ভেঙ্গে যায়। এর পর থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর সদস্যরা বান্দরবান জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান শুরু করে। এই অভিযান এখনো চলমান রয়েছে। এর ফলে এই তিনটি উপজেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করে স্থানীয় প্রশাসন।