পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে জেলায় পৃথক পৃথক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।
সোমবার সকালে শহরের রাজার মাঠে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) আয়োজন করেছে গণসমাবেশ ও আলোচনা সভা।
তাদের আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সম্পাদক ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক সালিম রাজা নিউটন এবং আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরা মিল্টন।
অন্যদিকে রাজার মাঠ সংলগ্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট (কেএসআই) মিলনায়তন প্রাঙ্গণে পায়রা উড়িয়ে দিবসের সূচনা ঘটায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ।
পরে শান্তিচুক্তির ২৭ বছরপূর্তি বিষয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর থানজামা লুসাই’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বান্দরবান সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম বিল্লাহ এবং পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ কাওছার বক্তব্য দেন।
চুক্তির বিরোধিতাকারী হিসেবে পরিচিত আঞ্চলিক সংগঠন ‘ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)’ শান্তিচুক্তি দিবস উদযাপন করেছে বান্দরবান পৌর এলাকার বালাঘাটায়।
বিকেলে বাঙালিদের অধিকার আদায়ের প্রতিষ্ঠান পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আয়োজন ছিল প্রেসক্লাব সংলগ্ন মুক্তমঞ্চে।
এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মজিবুর রহমান। সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের সহ সভাপতি হাজী আবদুস শুক্কুর, এম রুহুল আমিন, মোঃ নুরুল আলম, সংগঠনের বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি মোঃ আসিফ ইকবাল, সংগঠনের রুমা শাখার উপদেষ্টা মোঃ জসীম উদ্দিন এবং সংগঠনের সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজালাল।
তবে নানা আনুষ্ঠানিকতায় সরকার ও বিভিন্ন সংগঠন দিবসটি উদযাপন করলেও সাধারণ মানুষ বলেছে, শান্তিচুক্তির বিষয়টি নিয়ে তারা আর ভাবতে চান না।