আওয়ামীলীগ সরকার আমলের সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলামের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ভূমি দখলের অভিযোগ করে অবিলম্বে দখলীয় জমিসমূহ প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে বান্দরবান প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্ত টংগাঝিরি, পুইট্টাঝিরি ও দেরাজ মিয়া পাড়ার বাসিন্দারা এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণেশ ত্রিপুরা। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৯ সালে ক্ষমতার দৌরাত্ম দেখিয়ে সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলাম ডলুছড়ি মৌজার প্রায় ৩০০ একর জমি নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। এর ফলে টংগাঝিরি, পুইট্টাঝিরি ও দেরাজ মিয়া পাড়ার পাহাড়ি বাঙালি মিলিয়ে শতাধিক পরিবার এতে ভূমিচ্যুত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গণেশ ত্রিপুরা বলেন, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরপরই মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলামের লোকজন দখলে জায়গা ছেড়ে চলে গেলেও তার পক্ষের লোকজন এখনো গ্রামবাসীকে হুমকি দিয়ে আসছে।
এমন অবস্থায় পাহাড়ি বাঙালিদের ভূমি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য তারা ৮ দফা দাবিনামা পেশ করেন। দাবিগুলোর মধ্যে ফৌজিয়া ইসলামের নামে বায়না করা সকল দলিল ও লিজ বাতিল করা, স্থানীয় বাসিন্দাদের নামে মন্ত্রীর লোকজনের করা সকল মামলা প্রত্যাহার, ভূমি দখলে নেতৃত্বদানকারী মন্ত্রীর চাচাতো ভাই হিসেবে পরিচিত মকবুলকে গ্রেফতার এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি অন্যতম। এছাড়া মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া ইসমাইল হোসেনকে মুক্তি এবং বাগানের কেয়ারটেকার সাহাবুদ্দিন গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।