বান্দরবানরবিবার, ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে যুবারা

প্রতিবেদক
সোহেল রশীদ
ডিসেম্বর ৬, ২০২৪ ৭:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের এবারের টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ব্যাটিং আর নেতৃত্ব দুটিতেই দারুণ সাফল্য দেখাচ্ছেন আজিজুল হাকিম । তবে সেমি-ফাইনাল ম্যাচের ওজন তো একটু বেশিই। এই ম্যাচে ব্যাটে-বলে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ, অধিনায়ক নিজে আরও একবার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বুক চিতিয়ে, তার ভালো লাগার তীব্রতাও তাই যেন একটু বেশি। ফাইনালে ভারতের বিপক্ষেও দারুণ কিছু করার প্রত্যায় জানিয়ে রাখলেন তিনি।

যুব এশিয়া কাপের সেমি-ফাইনালে শুক্রবার পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দেন পেসাররা। পাকিস্তানের হয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা শাহজাইব খান ও আরেক ওপেনার উসমান খানকে নতুন বলে শূন্য রানেই ফেরান মারুফ মৃধা। পরে চারটি উইকেট নেন ইকবাল হোসেন ইমন। একটি উইকেট নেন আল ফাহাদ। উইকেট না পেলেও ৮ ওভারে স্রেফ ১৩ রান দেন রিজান হোসেন। পাকিস্তানের ইনিংস শেষ ১১৬ রানেই।

ম্যাচের পর জয়ের জন্যে দলের পেসারদেরকে কৃতিত্ব দিলেন অধিনায়ক আজিজুল।

“আজকে আমরা ম্যাচটা জিতেছি, ভালো লাগছে। সকালে টস জিতেছি, সবকিছুই পক্ষে ছিল আমাদের। বোলাররা সবাই ভালো করেছে। ইমন, মারুফ, ফাহাদ ও রিজান, ওরা অনেক ভালো বোলিং করেছে। এজন্য ১১৭ রানে (১১৬) রানে ওদেরকে আটকে রাখতে পেরেছি।”

“ওদের প্রতি বার্তাই ছিল যে, আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোব, আমাদের ভুলগুলো কমাব। আমরা সেটা করে দেখিয়েছি।”লক্ষ্য ১১৭ হলেও রান তাড়ার শুরুতে বাংলাদেশকে চাপে রেখেছিল পাকিস্তান। প্রথম পাঁচ ওভারে রান আসে চার। পরে দুই ওপেনার বিদায় নেন দ্রুত। তবে আজিজুল তিনে নেমে একের পর এক শট দলকে নিয়ে যান জয়ের ঠিকানায়। ৪২ বলে ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিনি করেছিলেন সেঞ্চুরি। যুব ওয়ানডে অভিষেকে বাংলাদেশের হয়ে শতরানের প্রথম কীর্তি যেটি। পরে নেপালের বিপক্ষে জয়ে তিনি করেন অপরাজিত ফিফটি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮ রানে আউট হয়ে গেলেও এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে করলেন আরেকটি অপরাজিত ফিফটি।

তার অবশ্য বেশি তৃপ্তি দলের জয়েই।

উইকেট পতনে দলের উল্লাস। ফটোঃ এসিসি/বিসিবি।

“আজকে যে ইনিংসটি খেলেছি, ভালো লাগছে। দলের জন্য খেলেছি, দেশের জন্য জিতেছি, খুব ভালো লাগছে।”

গত আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ শিরোপা ধরে রাখা থেকে এখন একটি বাধা দূরে। রোববার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত। লক্ষ্য পূরণের দারুণ আত্মবিশ্বাসী অধিনায়ক।

“ফাইনালে আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমাদের সর্বশক্তি দিয়েই যাব। নিজেদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনারা দোয়া করবেন, সাপোর্ট করবেন।”

চার উইকেট নিয়ে সেমি-ফাইনালের ম্যাচ-সেরার পুরস্কার পান ইকবাল হোসেন ইমন। উচ্ছ্বসিত এই পেসার ফাইনালেও করতে চান এমন কিছু।

সেমি-ফাইনালের ম্যাচ সেরা ইকবাল হোসেন ইমন। ছবিঃ এসিসি/বিসিবি।

“আজকের উইকেট আসলেই ভালো ছিল। সহায়ক উইকেট, পেস বোলিং উইকেট। আমি আমার জায়গায় বোলিং করেছি, সফল হয়েছি। ম্যান অব দা ম্যাচ হয়ে আমি রোমাঞ্চিত। খুশি হয়েছি। দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমার পারফরম্যান্সটা।”

“ফাইনালে বেশি কিছু পরিকল্পনা নেই। আমি আমার জায়গা থেকে ভালো বোলিং করব। এর বেশি কিছু না।”