লামার তঙ্গঝিরি ত্রিপুরা পাড়ায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ৩জন ও স্থানীয় ১ বাঙালিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী।
তিনি জানান, অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত গঙ্গামণি ত্রিপুরা লামা থানায় একটি মামলা দায়ের করার পর বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। অন্য অভিযুক্তদেরও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হচ্ছেন: স্টিফেন ত্রিপুরা (৫০), মসৈনিয়া ত্রিপুরা (৪৪), যোয়াকিম ত্রিপুরা (৫২) এবং ইব্রাহিম (৬৫)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র বড়দিন উপলক্ষে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তঙ্গঝিরির পাশের গ্রামের গীর্জায় প্রার্থনা করতে যায় ওই পাড়ায় বসবাসকারী সবাই। এ সময় খালি বাড়িঘর পেয়ে দুর্বৃত্তরা পাড়ায় ঢুকে অগ্নিসংযোগ করে। এতে ১৭টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
সূত্র জানায়, লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের তঙ্গঝিরিসহ বিভিন্ন এলাকা দখলে নিয়ে ভূমিদস্যুরা ওইসব এলাকায় বসবাসরত ও জুমচাষী বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজনদের উচ্ছেদ করে দিচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলছে।
পুলিশ জানায়, গত কয়েক মাস ধরে আসামীরা পাড়াবাসীর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা প্রদানের জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। এলাকাবাসী চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে ১টার দিকে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়।
এদিকে এ ঘটনার পর বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন এবং পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ কাওছার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে খাদ্য এবং অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।