বান্দরবানসোমবার, ১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সন্ত্রাস নয়, শান্তিতে একসাথে থাকতে চাই- সম্প্রীতির শোভাযাত্রা

প্রতিবেদক
স্টাফ রিপোর্টার
জানুয়ারি ২, ২০২৫ ৬:০৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিভিন্ন স্থানে চলমান সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বান্দরবানে বসবাসকারী পাহাড়ীদের ১১টি জনগোষ্ঠী ও বাঙালিরা সম্প্রীতির শোভাযাত্রা করেছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বান্দরবান শহরে অনুষ্ঠিত এই সম্প্রীতির র‌্যালী থেকে বলা হয়- ‘সন্ত্রাস নয়, পাহাড়ি-বাঙালি সবাই মিলে একসাথে শান্তিতে থাকতে চাই।’

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্প্রীতির শোভাযাত্রায় নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোষাক পরে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অংশ নিয়েছে- মারমা, ত্রিপুরা, ম্রো, বম, তঞ্চঙ্গ্যা, খেয়াং, চাকমা, খুমী, চাক, লুসাই ও পাংখোয়া জনজাতির প্রতিনিধিরা।

শহরের রাজার মাঠ থেকে বের হয়ে শোভাযাত্রাটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাব চত্ত্বরে এসে শেষ হয়।

বাংলাদেশ ম্রো স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি তনয়া ম্রো, বান্দরবান হোটেল মোটেল রিসোর্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন, শিক্ষাবীদ ক্যশৈপ্রু খোকা, হেডম্যান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক উনিহ্লা মারমা এবং বম সোশ্যাল কাউন্সিলের পক্ষে লাল মুন থাং বমসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

এদিকে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী এবং সর্বস্তরের নাগরিকদের জন্য সন্ধ্যায় রাজার মাঠে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ কনসার্ট।

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির পরও গত কয়েক দশক ধরে বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠনের নামে চাঁদাবাজী, অপহরণ, খুন ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে জনজীবনে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। এর উপর গত ৩ বছর ধরে ‘কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’ এর ভয়ানক কর্মকান্ডে পুরো জেলার পর্যটন শিল্প হুমকির মুখে পড়েছে। ‘কেএনএফ’ এর অপতৎপরতার কারণে জননিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে জেলার সবচেয়ে বেশি পর্যটন সম্ভাবনাময় রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রয়েছে।