বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল বলেছেন, যারা আগে জাতীয় নির্বাচন চায়না, তারা জনতার শত্রু।
তিনি বলেন, জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের প্রতিহত করা হবে।
রবিবার ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বান্দরবান শহরের রাজার মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
জাতীয় সংসদকে জন অধিকারের বাপ এবং স্থানীয় সরকারকে তার পুত্র উল্লেখ করে হাবিব উন-নবী খান সোহেল বলেন, যারা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি তুলছেন- তাদের কাছে জানতে চাই আগে বাপের জন্ম হয়, নাকি সন্তানের জন্ম হয়?
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ধৈর্য্যরে বাঁধ ভেঙ্গে গেলে আমরা ১০ দিনের আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলনে নামবো এবং জনগণের অধিকার আদায় করে ছাড়বো।
কোন রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ না করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, প্রফেসর ইউনুস, আপনি ভালো মানুষ। কিন্তু আপনি যাদের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে চাইছেন, তারা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্থিতিশীল দেশ চায় না, তারা অন্য কিছু চাইছেন।
ঐক্যবদ্ধ বান্দরবান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাচিং প্রু জেরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক মিসেস মাম্যাচিং, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ ও ব্যারিষ্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এবং জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব জাবেদ রেজা বক্তব্য দেন।
সমাবেশ উপলক্ষ্যে সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে রাজারমাঠে সমাবেত হন। দুপুরের আগেই বিশাল রাজারমাঠ নারী-পুরুষে ভরে যায়।
দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে বান্দরবান জেলা বিএনপি দুটি গ্রুপে বিভক্ত ছিল। এর ফলে বিগত কোন সংসদ নির্বাচনেই তারা বিজয়ী হতে পারেননি। এবার সাচিংপ্রু গ্রুপ ও মাম্যাচিং গ্রুপ ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় নির্বাচনে তাদের জয়লাভের সম্ভাবনা দেখছেন বিএনপির স্বর্বস্তরের নেতা কর্মীরা।
সাম্প্রতিক সময়ে সাচিং প্রু জেরিকে আহ্বায়ক, মিসেস মাম্যাচিং, অধ্যাপক মোহাম্মদ ওসমান গণি, মোহাম্মদ জাবেদ রেজা ও মুজিবুর রশিদকে নিয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটির উদ্যোগেই ২৩ ফেব্রুয়ারি এই মহা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।