বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মারমা জনজাতির সবচেয়ে বড় ধর্মীয়-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসব সাংগ্রাই এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে। নববর্ষ বরণকে কেন্দ্র করে এই উৎসব।
এবারের উৎসবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
উৎসবকে সামনে রেখে পাড়ায় পাড়ায় আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে।
সাংগ্রাই উৎসবের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ মৈত্রী পানি বর্ষণ বা ওয়াটার ফেস্টিভ্যাল।
বান্দরবান জেলা সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বছরে ১৬ এবং ১৭ এপ্রিল বিকেলে এই অনুষ্ঠান হবে।
মঙ্গলবার ৮ এপ্রিল স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংগ্রাই উৎসবের বিস্তারিত কর্মসূচি তুলে ধরেন উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি চনুমং মারমা।
কর্মসূচি অনুযায়ী, শনিবার ১২ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৫টায় ম্যারাথন দৌড়ের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এ উৎসব। এরপর সকাল ৯টায় রাজার মাঠে ফুটবল ম্যাচ এবং বিকাল ৩টায় একই মাঠে সাংগ্রাইং লোকজ ক্রীড়া উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। রবিবার ১৩ এপ্রিল সকাল ৭টায় রাজার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা। রাজগুরু বৌদ্ধ বিহার থেকে শহর প্রদক্ষিণ শেষে উজানি পাড়া খেয়াঘাটে বুদ্ধস্নান অনুষ্ঠিত হবে সোমবার ১৪ এপ্রিল দুপুর ২টায়। একইদিন রাত ৮টায় পাড়াভিত্তিক পিঠা তৈরির আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল বিকেল ৩টায় রাজার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বলি খেলা, তৈলাক্ত বাঁশ আরোহণ ও লোকজ ক্রীড়া অনুষ্ঠান। বুধবার ১৬ এপ্রিল বিকাল ৩টায় রাজার মাঠে মৈত্রী পানি বর্ষণ, লোকজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল বিকাল ৩টায় এ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে মৈত্রী পানি বর্ষণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী। সবশেষ শুক্রবার ১৮ এপ্রিল বিকাল ৩টায় মৈত্রী পানি বর্ষণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সাংগ্রাইং উৎসব। শেষদিনে উপস্থিত থাকবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
ছবি: বশির আহমদ