বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আমরা আগামী বছরের জুনের আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন চাই। তবে এর আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তাদের দোসরদের গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার ১৯ এপ্রিল বিকেলে বান্দরবান শহরের রাজার মাঠে আয়োজিত জেলা জামায়াতের কর্মী ও সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি মানবিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। এজন্য সংসদে আমাদের সংখ্যা গরিষ্টতা অর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, মানুষের বানানো আইনে প্রকৃত ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করা যায় না। এ জন্য আসমান থেকে আসা আল্লাহর বিধান এবং রাসুলের প্রদর্শিত পথ অনুযায়ী কোরআন ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, তিনি সংসদের সিদ্ধান্ত মানেন না। আদালতের রায় মানেন না। উল্টো আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে অপশাসন বজায় রেখেছেন। এটাই হচ্ছে ফ্যাসিবাদের রাজত্ব।
তিনি বলেন, গত ১৬ থেকে ১৮ বছর আমরা একটা কালো যুগ পার করেছি। শেখ হাসিনার অনুসারীরা তাকে বলতো গণতন্ত্রের মানুষ কন্যা। কিন্ত গণতন্ত্রের মানুষ কন্যার আমলে মানুষের ভোটাধিকার থাকবে না- এটা কি মেনে নেয়া যায়?
তিনি বলেন, ২০২৪ সালে কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে না গেলেও তখন ‘আমি’ আর ‘ডামির’ মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো ক্ষমতা দখল করলেন। কিন্তু এবার আর তিনি থাকতে পারলেন না। ২৪ এর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ইন্ডিয়ার মাল ইন্ডিয়ায় পালিয়ে গেছে। তিনি এখন ইন্ডিয়ায় আওয়ামী লীগের অফিস খুলে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। এখন দেশে ফ্যাসিবাদযুগের অবসান ঘটেছে। একটি গণতান্ত্রিক মানবিক পরিবেশ ফিরে এসেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এক নিরাপদ মানবিক দেশ গড়তে চায়। তাই সংসদে অর্ধেকের চেয়ে বেশি আসনে আমাদের জয় পেতে হবে।
১১ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত দাওয়াত কর্মসূচি চলছে উল্লেখ করে সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আপনারা ঘরে ঘরে গিয়ে জামায়াতকে বিজয়ী করার প্রচারণা শুরু করুন।
জেলা জামায়াতের আমীর এসএম আবদুচ ছালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মী ও সুধী সমাবেশে জামায়াতে ইসলামির কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান, চট্টগ্রাম মহানগরের আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী, বান্দরবান জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর এডভোকেট আবুল কালাম এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যাপক আবদুল আউয়াল অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন।