বান্দরবানের আলীকদমে নিখোঁজ ৩ পর্যটকের মধ্যে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে এখনো সন্ধান মিলেনি ট্যুর গ্রুপের কো এডমিন হাসান শুভ’র।
মোট ৩৩ জনকে নিয়ে ‘ট্যুর এক্সপার্ট গ্রুপ’ গত ৯ জুন বান্দরবানের আলীকদমে যায়। পরে তারা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে দু’টি স্পটে যায়।
সূত্র জানায়, হাসান শুভ’র নেতৃত্বে যে ২২ জনের গ্রুপ তৈন খালের শামুক ঝিরি ঝর্না দেখতে যায়, এই গ্রুপটিই বিপদে পড়ে। স্থানীয় পর্যটন সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন, এলাকাটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বহুল আলোচিত হলেও এই গ্রুপের সাথে কোন স্থানীয় গাইড ছিল না।
পুরো গ্রুপ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে দু’টি ভিন্ন স্পটে গেলেও গাইড নেয়া হয় মাত্র একজন। সিদ্ধার্থ তঞ্চঙ্গ্যা নামের এই একক গাইডকেও বর্ষা ইসলাম তার সাথে নিয়ে যান।
ধারণা করা হয়, আকস্মিক বর্ষণে পাহাড়ি ঢলের কবলে পড়ে ওই ৩জন নিখোঁজ হন।
আলীকদম থানার তথ্য অনুযায়ী, নিখোঁজ ৩ জনের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ১২ জুন মাতামুহুরী নদীর ফরেস্ট অফিস ঘাট থেকে শেখ জুবাইরুল ইসলামের (২৭) মরদেহ এবং শুক্রবার ১৩ জুন তৈন খাল এলাকার আমতলী ঘাট থেকে স্মৃতি আকতারের (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উদ্ধার করা দু’জনের কারো গায়েই কোন বস্ত্র ছিল না।
স্থানীয়রা বলেছেন, এর আগে পানিতে ডুবে বা ভেসে গিয়ে মারা যাওয়া কারো ক্ষেত্রেই এমনটা ঘটেনি।
এদিকে এই ট্যুর গ্রুপের সাথে যাওয়া গাইড সিদ্ধার্থ তঞ্চঙ্গ্যা এর পক্ষ থেকেও শুক্রবার রাত পর্যন্ত আলীকদম থানা বা অন্য কোথাও কোন ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি।
২০২২ সালের ১২ আগস্ট ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ গ্রুপের নিয়ে আসা একটি পর্যটক দলও দুর্ঘটনায় পড়ে। সে সময়ে গ্রুপ এডমিন বর্ষা ইসলামের স্বামী মোহাম্মদ আতাহার ইসরাক রাফি নিখোঁজ হন। পরে মাতামুহুরী নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, বর্ষা ইসলাম কেন প্রতিবারই অতি বর্ষার সময় টিম নিয়ে বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকা ভ্রমণের প্রোগ্রাম করেন এবং তার গ্রুপে আসা পর্যটকরাই কেন বিপদে পড়েন? তারা এ বিষ্প্যে বিস্তারিত তদন্ত করে ক্লু খুজে বের কিরার দাবি জানিয়েছেন।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী বহুল আলোচিত বর্ষা ইসলামকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।