২০২৬ এর মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপের চূড়ান্ত পর্ব। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া সহ গত এশিয়া কাপের শীর্ষ তিন দেশ জাপান, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া সরাসরি খেলবে। বাকি আটটি দেশ আসবে বাছাই পর্ব থেকে। ইয়াংগুনে চলমান বাছাই পর্বে ৩১ দেশ আট গ্রুপে খেলছে। আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়নরাই শুধু অস্ট্রেলিয়ায় খেলার সুযোগ পাবে।

জয়ের পর উল্লসিত মেয়েরা। ছবিঃ বাফুফে
দুই ম্যাচেই জয় তুলে নেয়ায় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। স্বাগতিক মিয়ানমারের ৩, বাহরাইন ও তুর্কেমেনিস্তানের রয়েছে এক পয়েন্ট করে। বাংলাদেশ নিজেদের শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের কাছে হারলে এবং মিয়ানমার বাহরাইনের বিপক্ষে জিতলে দুই দলেরই সমান ৬ পয়েন্ট হবে। কিন্তু সেখানেই এগিয়ে গেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী প্রথমে হেড টু হেড বিবেচনায় নেয়া হবে। ফলে মিয়ানমারকে হারানোয় বাংলাদেশ গ্রুপ সেরা হিসেবে গণ্য হবে। ফলে আজই বাংলাদেশের এশিয়া কাপ নিশ্চিত হলো।
বাহরাইন-তুর্কমেনিস্তান ম্যাচটি বেশ উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। ম্যাচের শেষ দিকে তুর্কমেনিস্তান ২-১ গোলে লিড নেয়। তুর্কমেনিস্তান ম্যাচটি জিতলে বাংলাদেশকে পরবর্তী ম্যাচে ন্যূনতম ড্র করতে হতো। কারণ তুর্কমেনিস্তান বাংলাদেশকে হারালে তখন তাদেরও ছয় পয়েন্ট হওয়ার সুযোগ থাকত। আবার মিয়ানমার শেষ ম্যাচে বাহরাইনকে হারালে তখন তিন দলের ছয় পয়েন্ট হতো। সেই সময় বড় জটিলতায় পড়ত গ্রুপটি।
খেলার ইনজুরি সময়ে গোল করে ২-২ ড্র করে বাহরাইন বাংলাদেশকে অপেক্ষা থেকে মুক্তি দিয়েছে। কারণ এখন শুধু মিয়ানমারেরই ৬ পয়েন্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং সেটা হলেও হেড টু হেড বিবেচনায় বাংলাদেশই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে।
৫ জুলাই বাংলাদশ-তুর্কমেনিস্তান ম্যাচ এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। ঐ ম্যাচে হারলেও বাংলাদেশের এশিয়া কাপ খেলায় কোনো বাধা থাকবে না।
আজ ঋতুপর্ণার জোড়া গোলে মিয়ানমারকে প্রথমবারের মতো হারিয়ে বাংলাদেশ এশিয়া কাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল কুয়েতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে প্রথম খেলেছিল।
সূত্রঃ ঢাকা পোস্ট।