বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম মুলপি পাড়ার পাহাড়ে সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় সন্ত্রাসী গ্রুপ ‘কুকিচিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)’ মধ্যে এক বন্দুকযুদ্ধে বৃহস্পতিবার ৩ জুলাই ভোররাতে ‘কেএনএ’র মেজর পদবিধারী একজন কমান্ডারসহ ২ জন নিহত হয়েছে।
এই অভিযানে সেনাবাহিনী ৩টি অত্যাধুনিক এসএমজি, ১টি চাইনিজ রাইফেল, ৮টি ম্যাগাজিন, ৯ দশমিক ৯৬ মি:মি: বল এ্যামো ১৫৪ রাউন্ড, ৩৯ মি:মি: এ্যামো ২৩৭ রাউন্ড, ৫৪ মি: এ্যামো ৬০ রাউন্ড, ৩ সেট ইউনিফর্ম, ৮টি স্মার্ট ফোন, ৭টি বাইবেল, ওয়ারলেস সেটসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। অভিযানে বেশকিছু প্রামাণ্য দলিলপত্রও উদ্ধার করেছে সেনা সদস্যরা। উদ্ধারকৃত চাইনিজ রাইফেলটি গত বছরের ২ এপ্রিল রাতে রুমার সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে লুট করে নিয়ে যাওয়া পুলিশের ১০টি চাইনিজ রাইফেলের ১টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ৩ জুলাই সকালে ‘আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)’ অভিযান সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য নিশ্চিত করে। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রুমা জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল আলমগীর হোসেন আনুষ্ঠানিক এক ব্রিফিং এ সাংবাদিকদের কাছে অভিযানের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তবে ঘটনার ১৫-১৬ ঘন্টা পরও নিহতদের পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত কোন তথ্য দেয়া হয়নি।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নিহত কমান্ডারের নাম মেজর পুতিন (লাল মিন সাং) হতে পারে। তবে নিশ্চিত করে কেউ তার পরিচয় জানাতে পারেনি। ব্রিফিং এ বলা হয়, এখনো অভিযান চলমান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র এবং সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, গোপণ তথ্যে নিশ্চিত হয়ে রুমা জোন থেকে সেনাবাহিনীর ৩টি বিশেষ গ্রুপ বুধবার মধ্য রাত থেকে রেমাক্রি-প্রাংশা, মুলপি ও আশপাশের এলাকাগুলোতে অভিযান শুরু করে। অভিযান টের পেয়ে ‘কেএনএ’ সদস্যরা সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে এসময় সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি ছুড়ে। এক পর্যায়ে ‘কেএনএ’ সদস্যরা তাদের অবস্থান থেকে পালিয়ে যায়। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে ২ জনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়।