গত সপ্তাহে রুমায় সেনাবাহিনী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কুকিচিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)’ এর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের পর উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে ২টি অস্ত্র বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর।
গত বছরের ২ এপ্রিল রাতে রুমায় সোনালী ব্যাংকে হামলা ও ডাকাতির সময় পুলিশের এসব অস্ত্র নিয়ে গিয়েছিল কেএনএ।
রুমা থানার ওসি মো. সোহরাওয়ার্দী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পুলিশের কাছে উদ্ধারকৃত অস্ত্র জমা দেয়ার পর অস্ত্রের গায়ে সিরিয়াল নম্বর দেখে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তিনি জানান, ওই অভিযানে সেনাবাহিনী ৩টি এসএমজি ও ১টি চাইনিজ রাইফেল উদ্ধার করে। এর মধ্যে একটি চাইনিজ এসএমজি এবং চাইনিজ রাইফেলটি পুলিশ বাহিনীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া অস্ত্র বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি।
অপরদিকে অপর ২টি এসএমজি মিয়ানমারের তৈরি। সেগুলো উৎস সম্পর্কে আমরা খোঁজ নিচ্ছি।
গত বছরের ২ এপ্রিল রুমার সোনালী ব্যাংক ডাকাতিকালে সেখানে রক্ষিত থাকা পুলিশের ২টি এসএমজি এবং ৮টি চাইনিজ রাইফেল লুট করে নিয়ে যায় ‘কেএনএফ’ সদস্যরা। এছাড়া এসময় তারা পাশের আনসার ক্যাম্প থেকে ৪টি শটগানও নিয়ে যায়। সেগুলো উদ্ধারের বিষয়েও পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে জানান ওসি সোহরাওয়ার্দী।
সবশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই ঘটনায় রুমা থানায় ২টি মামলা হয়েছে। এসময় মামলায় ‘কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’ প্রধান নাথান লমচেও বম (৪৫), সামরিক শাখার প্রধান ভাং চুং লিয়ান বম (৪০), মুখপাত্র লাল জং (মুইয়া) বমসহ (৫২) ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় আরো ১০/১৫ জন এ ঘটনার সাথে যুক্ত ছিল বলে মামলায় বলা হয়।
৩ জুলাই বন্দুকযুদ্ধে ‘কুকিচিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)’ এর ২ জন সশস্ত্র ক্যাডার নিহত হয়।
