বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর সংলগ্ন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে শুক্রবার ২৫ জুলাই রাত থেকে শনিবার ২৬ জুলাই সকাল ১১টা পর্যন্ত ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, সদর ইউনিয়নের চাকঢালা সংলগ্ন আন্তর্জাতিক পিলার নং ৪৪ থেকে ৪৯ নং পিলার পর্যন্ত এলাকা জুড়ে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কিছুদিন থেমে থাকার পর হঠাৎ করে সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম, তমব্রু, চাকঢালা ও দোছড়ি এলাকায় জনমনে উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, ওপারের গোলাগুলিতে এপারে বাংলাদেশ জনপদে কিছুটা উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পড়লেও ওই ঘটনায় এপারে কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে সীমান্তের ওপারে কি ঘটেছে বা কোন হতাহত হয়েছে কি না জানা যায়নি।
ইউএনও জানান, নাইক্ষ্যংছড়িতে দায়িত্বরত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির ৩৪ নম্বর ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের সাথে কথা হয়েছে। সীমান্ত পরিস্থিতি বিজিবি বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছে। বিজিবিকে উদ্ধৃত করে ইউএনও জানান, সতর্কতাবস্থায় রাখা হয়েছে বিজিবি জওয়ানদের। বাড়তি টহল আরোপ করা হয়েছে।
সীমান্তের খবরা খবর রাখেন- এমন সূত্রগুলো জানায়, দীর্ঘ দিন যাবৎ মিয়ানমার সরকার বিরোধী বিদ্রোহী বাহিনী আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইন প্রদেশের বিপুল অংশ নিজেদের দখলে নিলেও সাম্প্রতিক সময়ে জান্তা সরকারের ইন্ধনে অন্য বিদ্রোহী গ্রুপগুলো আরাকান আর্মির অবস্থান লক্ষ্য করে চোরাগুপ্তা হামলা চালাচ্ছে। তবে এবারই তারা মুখোমুখি শক্তি পরীক্ষায় নেমেছে।
