গত তিন দিন ধরে বান্দরবানে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হলেও পানি দ্রুত নিষ্কাষিত হয়ে যাওয়ায় কোথাও জলাবদ্ধতা দেখা দেয়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পুর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, রবিবার ২৭ জুলাই সকাল ৯টা থেকে সোমবার ২৮ জুলাই সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় মাতামুহুরী অববাহিকায় (লামা) ৫৫ মিলিমিটার এবং সাঙ্গু অববাহিকায় (বান্দরবান) ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
তবে এখনো দু’টি নদীতেই বিপদসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা পুর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সাঙ্গু নদীর বান্দরবান শহর পয়েন্টে বিপদসীমা হচ্ছে- ১৪ দশমিক ৮০ এমএসএল। কিন্তু সোমবার ২৮ জুলাই বেলা ৩টায় এই পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১০ দশমিক ৫৭ এমএসএল।
অন্যদিকে মাতামুহুরী নদীর লামা শহর পয়েন্টে বিপদসীমা হচ্ছে ১১ দশমিক ৮০ এমএসএল। সোমবার বেলা ৩টায় এই পয়েন্টে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৭৮ এমএসএল।
এদিকে থেমে থেমে বিপুল পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় পাহাড় ধসের আশংকা করা হয়েছে আবহাওয়া বার্তায়।
এ কারণে ঝুঁকি এড়াতে পাহাড়ের ঢাল এবং বিপজ্জনক এলাকায় বসতি স্থাপনকারীদের আশ্রয় কেন্দ্রসহ নিরাপদ অবস্থানে সরে আসার জন্য মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসন।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবানস্থ নির্বাহী প্রকৌশলী অরূপ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, লাগাতার না হয়ে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হলে এই মওসুমে বান্দরবান ও লামা শহরে জলাবদ্ধতা/বন্যার আশংকা কেটে যেতে পারে।
