জাতীয় সংসদের ৩০০ নং বান্দরবান আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার ব্যাপারে অঙ্গীকার করেছেন সম্ভাব্য তিন প্রার্থী।
বান্দরবান জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব ও সাবেক পৌর মেয়র জাবেদ রেজা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি’র একক প্রার্থী নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শনিবার ১১ অক্টোবর সকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর একটি রেস্টুরেন্টে বান্দরবান আসনে মনোনয়ন পেতে ইচ্ছুক ৩ প্রার্থীকে নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম এতে সভাপতিত্ব করেন। ৩ সম্ভাব্য প্রার্থী ছাড়া আর কেউ এতে উপস্থিত ছিলেন না।
জাবেদ রেজা জানান, বান্দরবান আসনে বিএনপি মনোনয়ন প্রার্থী সাবেক সাংসদ সাচিং প্রু জেরী, সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত সাবেক সাংসদ মাম্যাচিং এবং তিনি (জাবেদ রেজা) উপস্থিত ছিলেন।
জাবেদ রেজা বলেন, “বৈঠকে নিজেদের মধ্যে অনৈক্যের কারণে বান্দরবান আসন হাতছাড়া হবার বিষয় পর্যালোচনা করা হয় এবং আমরা নিজ নিজ বক্তব্য তুলে ধরি।”
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম দেশের বর্তমান পরিস্থিতি উত্তরণে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার নির্দেশনা তুলে ধরেন, জানান জাবেদ রেজা।
সবশেষ কি সিদ্ধান্ত হয়েছে জানতে চাইলে মনোনয়ন পেতে আগ্রহী ও জেলা সংগঠনের সদস্য সচিব জাবেদ রেজা বলেন, ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড় এবং দলের চেয়ে দেশের স্বার্থ সর্বোচ্চ’ – এ বিষয়ে প্রিয় নেতা মাম্যাচিং, সাচিং প্রু জেরী এবং আমি একমত হয়ে অঙ্গীকার করেছি, দল যাকেই মনোনয়ন দিবে, আমরা সবাই সেটা মেনে নিবো এবং দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো।”
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সাল থেকে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দলীয় কোন্দল ও বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সাচিং প্রু জেরী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ ছাড়া অন্য কোন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জয়লাভ করতে পারেননি। তবে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করার পর বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে মাম্যাচিং সাংসদ নির্বাচিত হন।
বিএনপি’র অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারণে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ এবং এর পরের সব ক’টি সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
