রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা এবং ভিটামিন ঘাটতিজনিত সমস্যা কাটাতে ৭৬ হাজারেরও বেশি শিশুকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শনিবার সকাল ৮টা থেকে বান্দরবানে জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, এবারের লক্ষ্য পূরণের জন্য বান্দরবান পৌর এলাকা ও ৭টি উপজেলায় মোট ৮৩১টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ১০ হাজার ৩৮০ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৬৫ হাজার ৭২১ জন শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।
তিনি জানান, এসব কেন্দ্রে ১৪১ জন স্বাস্থ্যকর্মী, পরিবার কল্যাণ বিভাগের ৯৮ জন কর্মী, ৪০৬ জন টিকাকর্মী এবং ৬২১ জন স্বেচ্ছাসেবী এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।
সকালে বান্দরবান পৌরসভা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, অভিভাবকগণ সকাল থেকেই ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন কেন্দ্রে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের শিশুদের নিয়ে আসছেন।
বান্দরবান সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ বছর বয়সী কন্যাকে নিয়ে এসেছেন তাসলিমা আখতার।
তিনি বলেন, “এখন আর ঘরে ঘরে গিয়ে ডেকে আনতে হয় না।”
“আমরা নিজেরাই নিজ নিজ শিশুকে বিভিন্ন টিকা দিতে এবং ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়াতে নিয়ে আসি।” হাসতে হাসতে জানান নবীন এই মা।
তবে স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ক্যাম্পেইনে প্রায় শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও বিশেষ পরিস্থিতির কারণে শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হতে পারে।
এমন অবস্থায় বিশেষ পদক্ষেপ নিয়ে শতভাগ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মাহবুব।